এই লেখাটি পূর্বে আমার সজীব ওয়াজেদের দূর্নীতি নিয়ে বই “অদ্ভুত গাধার পিঠে চলেছে স্বদেশ-এ প্রকাশিত”
সজীব ওয়াজেদ জয় যে শুধু একজন চোর, ছ্যাঁচড়, ডাকাত, লম্পট, দূর্নীতিবাজ তেমনটি নয়। বরং সজীব ওয়াজেদ জয় একজন ধর্ম অবমাননাকারী ও রেসিস্ট ব্যাক্তি।২০০৮ সালের নভেম্বরের ১৯ তারিখে সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভার্ড রিভিউ জার্নালে একটি প্রবন্ধ লিখেন একজন আর্মি অফিসারের সাথে যৌথভাবে। এই আর্মি অফিসারের নাম কার্ল সিয়াভাক্কো যিনি মূলত ইসরাইলি অরিজিনের একজন আমেরিকান নাগরিক। কার্লের পিতা মাতা দু’জনই ইসরেল থেকে আগত এবং কার্ল কাউন্টার টেরোরিজমের উপর একজন অভিজ্ঞ ব্যাক্তি। এই লোকটি ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একজন অনুচর বলেই সর্বাধিক প্রচারিত। এই কার্ল সিয়াভাক্কির সাথে মিলিত হয়ে জয় একটি অত্যন্ত আপত্তিকর প্রবন্ধ লেখেন যেখানে দেখানো হয় বাংলাদেশে বোরকা পরার হার বেড়ে গেছে তাই নাকি বাংলাদেশে ইসলামিক এক্সট্রিমিস্ট আছে এটা প্রমাণিত। বোরকার বিরুদ্ধে, ধর্মের বিরুদ্ধে এবং ক্রমাগতভাবে মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে তার এই লেখা বাংলাদেশকে অত্যন্ত আনরেস্ট করে তুলেছিলো এই সময়টাতে। একটি কথা এখানে উল্লেখ্য যে জয়ের প্রাক্তন স্ত্রী ক্রিস্টিন ওভারমায়ার কিন্তু ছিলেন ইসরাইলি বংশদ্ভুত একজন নাগরিক। জয়ের এই ইসরাইলি লিংক সব সময়-ই সন্দেহের একটি ক্ষেত্র তৈরী করে।
জয়ের লিখিত আর্টিকেলে শুধু ধর্ম নয় বরং বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট, ধর্ম ,রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়াদি প্রচন্ড ক্রুদ্ধ ভাবে তার লেখনীতে উঠে এসেছে যেখানে সে একটা পর্যায়ে বাংলাদেশের গর্ব সেনাবাহিনীকে আক্রমন করেও কথা বলতে পেছপা হয়নি। আসুন আমরা একটু দেখে নেই জয় তার ইসরাইলী বন্ধুকে নিয়ে সে প্রবন্ধে কি কি লিখেছে-
লক্ষ্য করে দেখুন প্রথম প্যারাতে কিন্তু নিজের নানাকেই বঙ্গবন্ধু বলে সম্বোধন করেনি এই জয়। অথচ কেউ বঙ্গবন্ধু বলে সম্বোধন না করলে তারই অনলাইন পালিত সন্ত্রাসী সিপি গ্যাং এর ছেলেরা সাধারণ মানুষকে আক্রমন করে বসত। এই প্যারায় জয় বলেছে যে ইসলামিজম নাকি বাংলাদেশে বিরাট হুমকি। কত বড় সাহস চিন্তা করা যায়? বাংলাদেশ হচ্ছে ৯৮% মুসলিমের দেশ। আর এই দেশেই ইসলামকে হুমকি হিসেবে জয় দেখছে একজন ইসরাইলী ইহুদী’র সাথে মিলে।
Bangladesh has been a secular Muslim state since its independence from Pakistan and founding by Sheikh Mujibur Rahman in 1971. While its short history has been full of military coup d’états, it has always returned to its roots as a secular democratic state. There are, however, troubling new signs of a shift towards a growing Islamism that could jeopardize the sanctity of secularism in the country. While the governing construct’s legitimacy is suffering politically from the past two years of emergency military rule, Islamism may be the biggest threat to the country’s Constitution and secular underpinnings.
সব সময় এই জয়ের মা আর জয় মিলে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সারা রাত আর দিন গালিগালাজ করত। এই জয়ই এখন চাপে পড়ে খালেদা জিয়ার তোষামোদ করছে কিভাবে দেখুন। এরা তো স্বীকার-ই করতে চায়না যে খালেদা জিয়ার পক্ষে জনতার একটা বড় অংশ রয়েছে। কিন্তু এখন ফাঁদে পড়ে ঠিকি সুনাম বের হয়েছে।
During the turmoil in Bangladeshi politics over the past two years, the military government has imprisoned two former Prime Ministers on trumpted-up charges of corruption. Yet, Sheikh Hasina of the Awami League and Khaleda Zia of the Bangladeshi Nationalist Party (BNP) continue to enjoy overwhelming support from their party’s grassroots. While Sheikh Hasina has already been released and is on parole in the United States for medical treatment, Khaleda Zia remains in prison. Though the military caretaker government had originally intended to imprison all of the popular politicians before the impending December election, it appears that both Sheikh Hasina and Khaleda Zia will be allowed to participate.
এই প্যারাতে সে ইসলাম কে কিভাবে অবমাননা করছে। জামাত ইসলাম একটি ইসলামী দল আর সেই দল কেন বি এন পির সাথে এক হয়ে রাজনীতি করবে এটাই হচ্ছে এই জয়ের ক্ষোভ। কোনো ইসলামী দল যাতে ক্ষমতায় না যেতে পারে এই জন্য সে তার লেখায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
Bangladeshis will once again go to the polls to decide between the Awami League and its record of secularism and the BNP with its public support of Jamat-e-Islami (which supports Islamic-leaning governance). If July’s local elections, where the Awami League won 12 of 13 Municipal elections, are any portent of future national elections, the League appears to be the favorite in the national election. This result would return Hasina, the daughter of the country’s founding father Rahman, to the Premiership that she held from 1996 until 2001. If however, the BNP wins by consolidating its Islamic-leaning power base, Zia will reoccupy the nation’s top position that she held from 2001 to 2006. With the rise of Islamic extremism encouraged by the last two years of military rule and five years of BNP governance, the Awami League will certainly be fighting an uphill battle both before and after the elections in stemming this movement. The ascendancy of Islamists (moulobadi in Bangali) in national politics was partly due to how Zia and the BNP structured their 2001 campaign to include the Islamic party Jamat-e-Islami (JI). When the BNP formed a coalition government with JI, it opened the door to increased Islamic influence on the governing party. Before JI became part of the ruling coalition, it had minimal influence on the government. The greatest number of seats that JI had ever garnered in any election prior to 2001 was three. After the BNP allied with JI however, its legitimacy grew within the governing construct.
আসলে মূল লক্ষ্য কোনোভাবেই বি এন পি বা জামাত নয়। জয়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামকে কিভাবে নষ্ট করা যায়, দ্বংস করা যায় সেই ধান্দা। বি এন পিকে জামাতের থেকে আলাদ করে একা করে দিতে চায়। জামাত আর বি এন পি দুইজন হরিহর আত্না। জিগিরি বন্ধু। এই জিগিরি বন্ধুত্ব নষ্ট করবার জন্যই একজন ইহুদিকে নিয়ে এসে জামাত ও বি এন পির ভেতর ফাঁটল ধরাতে চাইছে জয় তার লেখার এই প্যারায়।
BNP has begun to rely heavily on JI’s highly focused fundamentalist Islamic base. The Islamists tend to support reunification with the Islamic Republic of Pakistan and do not share the Awami League’s affinity for Rahman and the liberationists that fought Pakistan in the 1970s. The alliance of anti-liberationists, JI, and the BNP has also had direct and indirect involvement with Islamic fundamentalist groups that masterminded 500 coordinated bombings across Bangladesh in 2005. This display of terror was an attempt to showcase their growing power. These shadow groups, namely Jamat-ul Mujahid Bangladesh (JMB), Jagrata Janata Muslim Bangladesh (JMJB) and Harkatul Jihad (HuJi), have been the militant arm of JI. They overtly denounce the Constitution and seek to replace democracy and secularism with a governing construct based on Sharia Law.
এই প্যারাতে জয় সরাসরি বাংলাদেশের অহংকার ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীকে কিভাবে আক্রমন করে কথা বলছে লক্ষ্য করুন। যেন সেনাবাহিনীর ভেতর ইসলাম ঢুকে গেলে সমস্যা হয়ে যাবে। সোজা কথা হচ্ছে সেনাবাহিনীকে ধর্ম শূন্য করবার একটা গভীর নীল নকশা নিয়েই জয়ের এই লেখা দিয়ে প্রোপাগান্ডা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা, তাদের মধ্যে একজন আরেকজনের সাথে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয়াই আসলে এই জয় আর তার ইহুদি বন্ধুর উদ্দেশ্য।
Islamic extremism is also on the rise in Bangladesh because of the growing numbers of Islamists in the military. The Islamists cleverly began growing their numbers within the Army by training for the Army Entrance Exams at madrassas. This madrassa training was necessary because of the relative difficulty associated with passing these exams. The military is attractive because of both its respected status and its high employment opportunities in a country where unemployment ranges from 20 percent to 30 percent for younger males. High demand for military posts has resulted in an entrance exam designed to limit the number of recruits. Before this madrassa Entrance Exam campaign, only 5 percent of military recruits came from madrasses in 2001. By 2006, at the end of the BNP’s reign, madrassas supplied nearly 35 percent of the Army recruits. In a country that has seen four military coup d’états in its short 37 year history, the astronomical growth of Islamists in the military is troubling to say the least.
এই প্যারাটা অত্যন্ত ভয়ংকর একটি প্যারা। বাংলাদেশের নারীরা বুরকা পড়ছে বা পড়বে কিংবা বোরকার বিক্রির পরিমান বেড়ে গেছে এটা জয়ের অভিযোগ। লক্ষ্য করে দেখুন কি সুগভীর একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে বাংলাদেশকে নিয়ে। ২০০৮ সালের আগে আগে এই আর্টিকেল কিন্তু একটা সিগনালের মত। কাকে দিচ্ছে এই সিগনাল? এই সিগনাল টা দিচ্ছে মূলত ভারত আর ইসরাইলকে যে দেখ ক্ষমতায় আসলে আমরা কিভাবে ইসলাম ধর্মকে শেষ করে দেব। আর এই প্রক্রিয়াতেই তারা ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসেছে। কত বড় সাহস চিন্তা করে দেখেন যে বাংলাদেশে ইসলাম পালন করার সংখ্যা বাড়ছে এটাই জয়ের সহ্য হচ্ছে না। চিন্তা কি করা যায় ব্যাপারটা? সে কোনোভাবেই চায়না বাংলাদেশের মানুষ সত্যকারের ইসলামী অনুশাষন মেনে চলুক।
As the country was founded on a secular system of governance, the entire political system is now vulnerable. Can the Awami League stop the growing tide of Islamism in a country that has seen the sale of burkas rise nearly 500 percent in the last five years? The answer is yes if it implements the following secular renewal plan. This plan would make the country less hospitable to a growing Islamist movement and help return Bangladesh to its secular roots.