যেকোন দেশের শীর্ষ ধনীরাই বেশি কর ফাঁকি দেয়। এটা একটা সার্বজনীন সমস্যা। যেখানে তারা চাইলেই একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে তা না করে তারা অন্য পথে হাটে। দেশের গন্ডি পেড়িয়ে বিদেশেও একই অবস্থা। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) আন্তর্জাতিক সংস্থার বিভিন্ন গবেষণায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে।
যেহেতু দেশের শীর্ষ ধনী ব্যবসায়ীরা তারা যদি নিয়মিত কর দেন, তাদের নাগরিক দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেন তাহলে কিন্ত দেশ অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারে। তবে দুঃখের বিষয় এমন চিত্র খুব কমই দেখা যায়। কর ফাকি দিতে তারা উল্টো অনেক ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয় অনেক সময়। আবার দেখা গেছে এ দেশে মধ্যবিত্ত এবং এর কম সামর্থ্যবান লোকেরা নিয়মিত কর দেন। অনেক জরিপে দেখা যায়, বিত্তশালী কেউ কেউ দীর্ঘদিন ধরে কর না দিয়ে রাষ্ট্রকে বঞ্চিত করছেন। এদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
দেখা গেছে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইন নিয়ে ব্যবসায়ীদের আপত্তি রয়েছে। যা নিরসন করা প্রয়োজন। এছাড়াও মামলায় আটকে আছে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব। এ রাজস্ব আদায়ে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা সরকারই ভালো জানে। এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২৪ হাজার ৫৭২টি মামলায় প্রায় ৩০ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা আটকে রয়েছে।
অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে থাকে কর অফিসে হয়রানি হন করদাতারা। করবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টিতে আলোকপাত করতে বলেছে তারা। অনেকেই কর দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হলেও তাদের মধ্যে অহেতুক হয়রানি হতে হবে এ ধরনের একটা ভীতি কাজ করে। এ ভীতি দূর করার জন্য রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা দরকার। ব্যবসায়ী, করদাতাসহ অংশীজনের আস্থা তৈরির চেষ্টা করতে হবে। ভেতরের (এনবিআর) লোকজনের উদ্দীপনা তৈরি করতে হবে।
কর আদায় একটি জটিল বিষয়। সবকিছু থাকলেও সৎ সাহস না থাকলে এনবিআরের কর্মকর্তারা অনেক বড় ব্যবসায়ীর সামনে দাড়িয়ে জবাবদিহি করতে পারবেন না। রাষ্ট্রের ন্যায্য পাওনা আদায় করতে পারবেন না। তাই এনবিআর কর কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, হয়রানি, অসদাচরণের ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখাবে। এনবিআরকে হতে হবে এখন শিল্পবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব। আগে এনবিআরে যে বাঘের প্রতিমূর্তি ছিল, এখন তা আর যুগোপযোগী নেই।
অসৎ ব্যবসায়ীরা মিথ্যা ঘোষণাসহ নানাভাবে কর ফাঁকি দেয়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি অবলম্বন করতে হবে। এনবিআর কে দুষ্টের দমন, শিষ্টের লালন নীতি অবলম্বন করতে হবে। ভালো কাজ করলে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বীকৃতি দিতে হবে, তাদের পদায়ন করতে হবে। এনবিআরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনা দরকার সবার আগে।
রাজস্ব কর্মকর্তাদের প্রতিনিয়তই একধরনের পারফরম্যান্স ইনডেক্সের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সবুজ, হলুদ, লাল—এ তিন ধরনের ইনডেক্স রয়েছে। যারা সৎ ও কর্ম-উদ্যোগী তারা ‘সবুজ’। তাদের চেয়ে কম পারফরম্যান্সধারীরা ‘হলুদ’ আর যাদের সততার অভাব রয়েছে, তারা ‘লাল’ অঞ্চলে রয়েছেন। সবুজ অঞ্চলের কর্মকর্তার সংখ্যা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।
প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকলে বছর শেষে বিশাল লক্ষ্য অর্জন অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অর্থবছরের শুরুতে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকে। এনবিআরের রাজস্বের একটি বিশাল অংশ আসে উৎসে কর থেকে। অর্থবছরের প্রথমার্ধে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) কাজ খুব একটা হয় না। ঠিকাদারেরাও বিল পান না। দ্বিতীয়ার্ধ বিশেষ করে চতুর্থ প্রান্তিকে ঠিকাদারেরা তাদের কাজের বিল পেতে শুরু করেন। তখন ঠিকাদারদের বিলের ওপর উৎসে কর কেটে রাখা হয়। তাই শেষ প্রান্তিকে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় প্রতিবছর।
স্বাধীন ভাবে কোথা না বলতে পারার যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি। আপনাদের দেখে উৎসাহ পাই কিন্তু পরক্ষনেই ভয়ে কুঁকড়ে যাই।
ভাইয়া আমরা আজ নিজের দেশে নিজেরাই জিম্মি। কিছুই আর বলা যায় না এখন।
তুই কিন্তু এবার বেশি বাড়াবাড়ি করছিস। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখার আগে কিন্তু একশোবার ভাবা উচিত ছিল। এরপর তোর সাথে যা হবে তাঁর জন্য কিন্তু তুই নিজেই দায়ী থাকবি।
চুতমারানির পোলা তোড়ে সামনে পাইলে গুম করে দিতাম একদম।
ভাই দেশের অবস্থা খুব খারাপ, আসলেই কিছু বলা যায় না। বললেই হুমকির পর হুমকি আস্তে থাকে।
এসব গাঁজাখুরি কথাবার্তা লিখে কি মজা পাস?
তোড়ে সামনে পাইলে ইচ্ছামত কোপামু
বাঁচতে চাইলে তাড়াতাড়ি লেখালেখি বন্ধ করে দে খানকির পোলা
কাজলের মতো তোকেও গুম করে দেওয়া হবে